আমার ম্যারাথনের ইতিকথা
জাফরুল হাসান
আমি জাফরুল হাসান, বয়স ২৮, নিজের ওজন কমাতেই রান শুরু করেছিলাম, আমার বাসা সোনারগাঁও, সোনারগাঁও এর সর্বপ্রথম ম্যারাথন রানার আমি।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম, হঠাৎ চোখে পরলো ঢাকা হাফ ম্যারাথন, দেখলাম হাজার হাজার লোক রান করছে, আমার ও ইচ্ছা হলো, কিন্তু যখন রেজিস্ট্রেশন সময় হল, দেখলাম রেজিস্ট্রেশন ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ, ঢাকা হাফ ম্যারাথন এর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো আর দিতে পারলাম না,
আমার এলাকা থেকে যেহেতু আমি একাই রান করতাম, একাই রানিং ইভেন্ট এ যেতে হতো,
ওইখানে পরিচিত কেউ ছিলনা আমার, কিছু কিছু ইভেন্টে রেস এর আগের রাতে থাকার ব্যবস্থা না করতে পারায়, ইভেন্টের ভেনু তে ছিলাম,
পরে আস্তে আস্তে সবার সাথে পরিচিত হয়ে,
নারায়ণগঞ্জ রানার্স কমিওনিটির সাথে যুক্ত হলাম,
খুব ভালো একটা টিম পেলাম, উনাদের সাথেই যেতাম বিভিন্ন ইভেন্টে, এখন আমাদের এলাকারও রানিং কমিউনিটি হয়েছে, সোনারগাও রানার্স, ও ভোরের পাখি, উনারা আস্তে আস্তে ম্যারাথন সম্পর্কে জানতে পারছে, বিভিন্ন ইভেন্টে জয়েন করছেন, এখন আমরা সোনারগাঁও থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন বিভিন্ন ইভেন্টে যাই।
আমার ম্যারাথনের লিস্ট শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকে
এরপর ২০১৯ সালে Start easy, finishing hard...jci north city corporation এর
Run for breaking drugs! এর আয়োজনে
5k finisher হলাম তারপর #Gazipurhalfmarathon2019
#21.01kilomiter
প্রথম হাফ ম্যারাথনের আবেগটা গাজীপুরের সাথেই মিশে গেছে।
কোলাহল মুক্ত একটি সবুজ গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দৌড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ কে আমার ভালবাসা জানাই । আয়োজনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল মুগ্ধকর , সকল ভলানটিয়ার রা অত্যন্ত আন্তরিকতারসাথে সকল রানারদের সহযোগিতা করেছেন - যা খুবই প্রশংসনীয়